Posts

Showing posts from December, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

হরিনামে মাতোয়ারা হরিভক্ত মতুয়াদের মহা সম্মেলন, জয় হরিবোল, matua maha sam...

Image
এই ভিডিওতে মতুয়া দের এক সম্মেলনের চলচ্চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ডঙ্কা, কাসর ধ্বনিতে মাতোয়ারা ভক্ত দের সংস্পর্শে এলে যে কেউই এক ভাব মাধুর্যময় পরিবেশের স্বাদ পাবেন সন্দেহ নেই। মতুয়া শব্দের অর্থ মেতে থাকা বা মাতোয়ারা হওয়া। হরিনামে যিনি মেতে থাকেন বা মাতোয়ারা হন তিনিই মতুয়া। মতুয়াদের নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত ভাবে আলোকপাত করার ইচ্ছা রইল। জয় হরি বোল। Matua, matuya, jay haribol, joy horibol, horibol, thakur nagar, ora kandi, baruni, who are matua, Harichand thakur, guruchand thakur, matua religion, danka, founder of Matua, হরিবল, জয় হরি বল, হরি বোল, ওড়াকান্দি, ওড়া কান্দি, ঠাকুর নগর, ঠাকুরনগর, বারুনি, মতুয়া কারা, হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর, মতুয়া ধর্ম, মতুয়া ধর্ম কে প্রতিষ্ঠা করেন, মতুয়া মহা সম্মেলন

হরিনামে মাতোয়ারা হরিভক্ত মতুয়াদের মহা সম্মেলন, জয় হরিবোল, matua maha sam...

Image
এই ভিডিওতে মতুয়া দের এক সম্মেলনের চলচ্চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ডঙ্কা, কাসর ধ্বনিতে মাতোয়ারা ভক্ত দের সংস্পর্শে এলে যে কেউই এক ভাব মাধুর্যময় পরিবেশের স্বাদ পাবেন সন্দেহ নেই। মতুয়া শব্দের অর্থ মেতে থাকা বা মাতোয়ারা হওয়া। হরিনামে যিনি মেতে থাকেন বা মাতোয়ারা হন তিনিই মতুয়া। মতুয়াদের নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত ভাবে আলোকপাত করার ইচ্ছা রইল। জয় হরি বোল। Matua, matuya, jay haribol, joy horibol, horibol, thakur nagar, ora kandi, baruni, who are matua, Harichand thakur, guruchand thakur, matua religion, danka, founder of Matua, হরিবল, জয় হরি বল, হরি বোল, ওড়াকান্দি, ওড়া কান্দি, ঠাকুর নগর, ঠাকুরনগর, বারুনি, মতুয়া কারা, হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর, মতুয়া ধর্ম, মতুয়া ধর্ম কে প্রতিষ্ঠা করেন, মতুয়া মহা সম্মেলন

ব্রহ্মলোকে অনাচার, এবং ব্রহ্মার অভিশাপ, পরশুরাম তৃতীয় পর্ব, সুতপা, Curse...

Image
ব্রহ্মার অভিশাপ ও পরশুরাম বন্ধুরা, আমাদের আগের পর্বে আমরা দেখেছি পরশুরাম মাতৃহত্যার পাপ থেকে কিভাবে মুক্ত হলেন। ব্রহ্মকুন্ডের পবিত্র জলে স্নান করার সময় পরশুরামের স্পর্শে এক অভিশপ্ত কুমীরেরও মুক্তি ঘটল। চলুন আজ দেখে নিই সেই অভিশপ্ত কুমীরের কাহিনী। ব্রহ্মলোকের ঋষিগন ষড়রীপূর বন্ধন থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার জন্য প্রতিনিয়ত তপস্যা করে চলেন। সাংসারিক জীবনের ভোগ বিলাস ও নারী সঙ্গ তাদের জন্য কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ, তাই তারা ব্রহ্মচারী। একবার ব্রহ্মলোকে সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মা সমস্ত ঋষিদের নিয়ে সভামধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় পরমা সুন্দরী অপ্সরা মেনকা ঋষিদের সংযম পরীক্ষা করার জন্য আকাশ পথে সভার উপর দিয়ে বিচরণ করতে লাগলেন। অপ্সরাদের রূপের মোহে আকৃষ্ট হয়ে অনেক মুনি ঋষি তাদের জন্ম জন্মান্তরের জপতপ জলাঞ্জলি দিয়েছেন। 'অপ্সরা' ও 'গন্ধর্ব' কারা এসম্পর্কে দুটি ভিডিও আলোকপাত চ্যানেলে আগেই আপলোড করা হয়েছে, ডেসক্রিপশনে লিংক দেওয়া আছে দেখে নিতে পারেন। মেনকাকে দেখা মাত্রই সমস্ত ব্রহ্মর্ষিগন মাথা নত করে রইলেন। কিন্তু মহর্ষি সুতপা নিজেকে সংযত রাখতে পারলেন না। মেনকার রূপের ছটায় মোহিত হয়ে, স্থান-কাল-প...

পরশুরাম তার মায়ের গলে কেটেছিলেন কেন? দ্বিতীয় পর্ব, Why Parashuram murder...

Image
পরশুরাম পিতার আদেশে কুঠারের আঘাতে নিজের মায়ের গলা কেটেছিলেন পরশুরাম। মাতৃহত্যার পাপে সেই কুঠার তার হাতেই লেগে রইল, শত চেষ্টা করেও তাকে হাত থেকে খসানো গেলো না। চলুন আজ দেখে নিই পরশুরাম কিভাবে হাতের কুঠার খসালেন। পরশুরাম কেন তার নিজের মায়ের গলা কেটেছিলেন সেই কাহিনী ডেসক্রিপ্সনে দেওয়া লিঙ্কে গিয়ে দেখে নিতে পারেন। হাতের কুঠার ছাড়াতে না পেরে পরশুরাম পিতা জমদগ্নির কাছে এর প্রতিকার জানতে চাইলেন। পিতা বললেন বত্স, তুমি মাতৃহত্যা করেছ, মাতৃহত্যার মত পাপ জগতে দ্বিতীয়টি নেই। পাপ মুক্তির জন্য তোমাকে মান অহংকার ত্যাগ করে, মাথায় জটাভার নিয়ে নিরাহারী ব্রত পালন করতে হবে। ব্রত সম্পন্ন করে ভুবনের সমস্ত তীর্থস্থান ভ্রমন করবে। তারপর কৌশল নগরে বিষ্ণুযশা পন্ডিতের বাড়িতে যাবে। তিনিই তোমাকে মুক্তির পথ দেখাবেন। পিতার নির্দেশমত ব্রত পালন করে তির্থ ভ্রমনে বের হলেন পরশুরাম। একে একে গয়া, গঙ্গা, বারানসী, প্রভাস তীর্থ, মানস সরোবর, কেদারনাথ প্রভৃতি সমস্ত পবিত্র তীর্থ সমূহ ভ্রমন করলেন। অবশেষে পিতার কথামত তিনি উপস্থিত হলেন কৌশল দেশে বিষ্ণুযশা পন্ডিতের গৃহে। কুঠার হাতে জটাধারী ভয়ঙ্কর পরশুরামকে দেখে বিষ্ণুযশা সসম্মানে ত...

মাসের প্রথম দিন বাড়ি থেকে বের হলে কী হয় জানেন? বিন্ধ্য পর্বত ও অগস্ত্য য...

Image
:অগস্ত্য যাত্রা: নমস্কার বন্ধুরা, আমাদের আজকের আকর্ষণীয় কাহিনীটি নেওয়া হয়েছে কাশীদাসী মহাভারতের বন পর্বের ৩৬১ নং পৃষ্ঠা থেকে। পৌরাণিক যুগে বিন্ধ্য পর্বত ছিল ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পর্বত। এই নিয়ে বিন্ধ্যের মনে বেশ অহংকার ছিল। একদিন দেবর্ষি নারদ বীণা বাজিয়ে ঘুরতে ঘুরতে সেখানে উপস্থিত হলেন। স্বভাব বশত তিনি বললেন, জগতের শ্রেষ্ঠ পর্বত হলেন সুমেরু পর্বত। দেবতারা তার স্তব করেন, এমনকি সূর্যদেবও প্রতিনিয়ত তাকে প্রদক্ষিণ করেন। একথা শুনে বিন্ধ্য মনে মনে অপমানিত বোধ করলেন। পরদিন তিনি সূর্যদেবকে ডেকে বললেন, আজ থেকে আপনি আমাকেও প্রদক্ষিণ করবেন। সূর্যদেব তার কথায় কর্ণপাত করলেন না। এতে বিন্ধ্য পর্বত আরো অপমানিত বোধ করলেন। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজের উচ্চতা বাড়াতে লাগলেন। একপর্যায়ে সূর্যের গতিপথ রুদ্ধ হয়ে গেল। সূর্যের তাপে বিন্ধ্য পর্বতের একদিক পুড়ে যেতে লাগল। অপরদিক সূর্যালোকের অভাবে তুষারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। দুই পাশের প্রাণীদের বিপন্ন অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য সকলে অগস্ত্য মুনির স্মরনাপন্ন হলেন। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, মহর্ষি অগস্ত্য ছিলেন বিন্ধ্য পর্বতের গুরুদেব। সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বিন্ধ্য পর্বতের কাছে উপস...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat