Posts

Showing posts from March, 2019

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

রাবনের দাদুর সঙ্গে বিষ্ণুর যুদ্ধ হয়েছিল কেন? সুমালী, মালি, মাল্যবান #Ram...

Image
রাক্ষসরা কেন পাতালে গিয়েছিল? লঙ্কায় রাজত্ব করত মাল্যবান, মালী ও সুমালী নামে তিন রাক্ষস ভাই। তাদের অত্যাচারে ত্রিভূবন বিপর্যস্ত। তারা স্বর্গ রাজ্য আক্রমণ করলে নিরুপায় দেবরাজ ইন্দ্র মহাদেবের স্মরনাপন্ন হন। শিব ঠাকুর ইন্দ্রকে বললেন, তুমি নারায়নের কাছে যাও। নরলোকের দুষ্টদের দমন করতে তিনিই ধরাধামে অবতীর্ণ হবেন। দেবতাদের মিলিত অনুরোধে ভগবান বিষ্ণু গরুড়ের পিঠে চড়ে রাক্ষস নিধনে চললেন। বিষ্ণুকে দেখা মাত্রই রাক্ষসরা তাকে আক্রমন করল। ভয়ঙ্কর যুদ্ধে শ্রীহরির চক্রবাণের আঘাতে মালীর মৃত্যু হল। ভাইয়ের মৃত্যুতে ক্রুদ্ধ হয়ে মাল্যবান বিষ্ণুকে আক্রমণ করলেন। বিষ্ণু বললেন, যদি বাচতে চাও তবে লঙ্কা পুরী ছেড়ে সবংশে পাতালে প্রবেশ করো। মাল্যবান বললেন, হে বিষ্ণু, আমার এক ভাইকে মেরে নিজেকে মহা শক্তিশালী মনে করছেন? ক্ষমতা থাকলে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করো। এই বলে তিনি বিষ্ণুর সামনে বুক চিতিয়ে দাড়ালেন। ক্রুদ্ধ বিষ্ণু তার বুকে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করলেন। দাউদাউ করে জ্বলতে জ্বলতে মাল্যবান পৃথিবীতে পড়লেন। দুই ভাইয়ের নির্মম পরিনতি দেখে ভীত সুমালী লঙ্কার সিংহাসনের মায়া ত্যাগ করে দ্রুত পাতালে প্রবেশ করলেন। এই সুমালী ছিলেন লঙ্কাধিপ...

শ্রীলঙ্কার নিচে কী আছে? গরুড় ও পবনের যুদ্ধ, Formation of Sri Lanka in Ra...

Image
গজ কচ্ছপের যুদ্ধ https://www.youtube.com/watch?v=mDYiuAdNPu4 •√লঙ্কা পুরীর সৃষ্টি: (কৃত্তিবাসি রামায়নের উত্তর কান্ড ৩২৩ পৃষ্ঠা) স্বর্গ থেকে অমৃত আনতে যাওয়ার সময় পথে গরুড় অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন। পিতা কশ্যপের নির্দেশে বিবদমান গজ কচ্ছপকে দুই পায়ের নখ দিয়ে তুলে নিলেন। কিন্তু এই পর্বত প্রমাণ হাতি ও কচ্ছপকে কোথায় বসে খাবেন সেই জায়গা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার নির্দেশে গরুড় সুমেরু পর্বতের চূড়ায় গিয়ে বসে আহার শুরু করলেন। সুমেরু পর্বত হল পবনদেবের বাসস্থান। পবনদেব সেখানে এসে গরুড়কে সেই মুহূর্তে সুমেরু পর্বত ত্যাগ করতে বললেন। গরুড় বললেন, আমি সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার অনুমতি ক্রমে এখানে এসেছি। তোমার ক্ষমতা থাকলে আমাকে সরিয়ে দেখাও। পবন ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, আমি সমগ্র সুমেরু পর্বতকেই উপড়ে ফেলব। সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড ঝড় উঠল, চারিদিক ধুলিময় হল, পৃথিবী থর থর করে কাঁপতে লাগল। গরুড় নিজের দুই পখা দিয়ে পুরো পর্বতকে ঢেকে দিলেন। পবনদেব ঝড় বৃষ্টি সহ গরুড়ের পাখার উপর একটানা ৭ দিন শিলা বর্ষণ করলেন। পৃথিবীকে বিপর্যস্ত হতে দেখে সমস্ত দেবতারা ব্রহ্মার কাছে ছুটে গিয়ে পবন ও গরুড়ের দ্বন্দ্বের মিমাংসা কর...

বিনা পুরুষে রাবনের বাবার জন্ম কিভাবে হল? বিশ্রবা মুনির জন্ম, Birth of Bi...

Image
বিশ্রবা মুনির জন্ম: মহামুনি পৌলস্ত্য ছিলেন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার পুত্র। একবার তিনি নির্জনে তপস্যা করার জন্য সুমেরু পর্বতে গেলেন। বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর স্বর্গীয় অপ্সরা মেনকা, দেব কন্যা, নাগ কন্যা, গন্ধর্ব্ব ও অন্যান্য অপ্সরাদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলেন। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে সকলে আনন্দে নৃত্য গীত শুরু করলেন। সকলের মিলিত কোলাহলে তপস্যায় বিঘ্ন ঘটায় পৌলস্ত্য প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, তোমরা এই মুহূর্তে এ স্থান ত্যাগ কর। এরপর এখানে যদি কোন নারি উপস্থিত হয়, তবে সে আমার অভিশাপে বিনা পুরুষেই গর্ভবতী হবে। মুনির বাক্য শুনে তারা সবাই দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলেন। আরো কিছুদিন পর তৃণবিন্দু মুনির কন্যা ঘুরতে ঘুরতে পৌলস্ত্যের তপোবনে চলে এলেন। মুনির অভিশাপের কথা তিনি কিছুই জানতেন না। তাই নির্দিধায় সেখান দিয়ে ঘুরে তিনি আশ্রমে ফিরে এলেন। মুনির অভিশাপের কারণে তিনি গর্ভবতী হলেন। তৃণবিন্দু এই ঘটনা জানতে পেরে কন্যাকে নিয়ে পৌলস্ত্যের কাছে উপস্থিত হলেন। তাকে বললেন, হে মুনিবর, আপনার অভিশাপের কথা আমার মেয়ে জানত না। তাই নিজের অজান্তেই আপনার আশ্রমের কাছে আসার জন্য গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। এখন লোকল...

গজ কচ্ছপের যুদ্ধ, ভাইয়ে ভাইয়ে গন্ডগোল করলে কী হয়, #alokpat ������

Image
গজ কচ্ছপের যুদ্ধ আজ থেকে বহু যুগ আগে সন্তাপন এক রাজা ছিলেন। তার ছিল দুই পুত্র, বিভাবসু ও সুপ্রসাদ। পিতার সমস্ত ধন সম্পদ জ্যেষ্ঠ পুত্র বিভাবসুই দেখাশোনা করতেন। এক সময় সন্তাপন পরলোক গমন করলেন। কিছুদিন পর ছোট ভাই সুপ্রসাদ দাদার কাছে পিতার সম্পত্তির ভাগ চাইলেন। বিভাবসু বললেন মৃত্যুর পূর্বে পিতা সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে যাননি, তাই ধন সম্পদ যেমন আছে তেমনি থাক। অনেক বলেও যখন দাদাকে রাজি করানো গেল না, তখন সুপ্রসাদ মহর্ষি বশিষ্ঠের কাছে গিয়ে এই সমস্যার সমাধান চাইলেন। সব শুনে বশিষ্ঠ বললেন, তোমার দাদা এতদিন সমস্ত সম্পদ রক্ষা করে এসেছেন। তাই আমার বিচার মতে পাঁচ ভাগের তিন ভাগ বিভাবসুর এবং দুই ভাগ তোমার। এই বিচার যদি তোমরা না মানো তবে আমার অভিশাপে তোমরা কেউই বাপের সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে না। সুপ্রসাদ এতে সম্মত হয়ে দাদার কাছে গিয়ে সম্পত্তির দুই ভাগ দাবি করল। নিজেদের মধ্যে কোনো রকম আলোচনা না করে বশিষ্ঠের কাছে বিচার চাইতে যাওয়ায় বিভাবসু অত্যন্ত অপমানিত বোধ করলেন। ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি ভাইকে বুনো হাতি হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দিলেন। নিজের প্রাপ্য না পেয়ে এবং অন্যায় ভাবে অভিশপ্ত হয়ে কনিষ্ঠ ভাই সুপ্রসাদও বড় ভাইকে কচ্ছপ...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat