Posts

Showing posts from February, 2019

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

মান্ডব্য মুনি যমরাজ কে অভিশাপ দিলেন কেন? বিদুরের জন্ম, Mandavya #alokpat...

Image
যমকে মান্ডব্যের অভিশাপ: মহাভারতের আদি পর্বে মান্ডব্য মুনির বর্ণনা পাওয়া যায়। আজন্ম ধার্মিক এই মুনি বালক বয়সেই বৃক্ষমূলে বসে কঠোর তপস্যা শুরু করেন। দুই হাত উপরে তুলে, মৌনভাবে উপবাসী থেকে দীর্ঘ কাল অতিবাহিত করলেন। একদিন কিছু চোর নগরে চুরি করতে ঢুকল। রাজসৈনিকগন তাদের দেখতে পেয়ে তাড়া করলেন। চোরেরা ছুটতে ছুটতে বনের মধ্যে এসে মান্ডব্যের আশ্রমে উপস্থিত হল। পালাবার কোনো পথ না পেয়ে সমস্ত চোরাই মাল নিয়ে তারা আশ্রমের ভিতর লুকিয়ে রইল। নগরপালেরাও ছুটতে ছুটতে সেখানে এসে ধ্যানরত মুনিকে দেখতে পেয়ে বলল, হে তপস্বী, একদল চোর এদিকে পালিয়ে এসেছে, তারা কোনদিকে গেল দেখেছেন? মান্ডব্য তখন মৌনব্রতে ছিলেন, তাই কোনো উত্তর দিলেন না। বার বার জিজ্ঞাসা করেও কোনো উত্তর না পাওয়ায় তারা নিজেরাই চারিদিক খুজেঁ দেখতে লাগলেন।  বিস্তর খোজাখুজির পর আশ্রমের মধ্যে জিনিসপত্র সমেত চোরদের পাওয়া গেল। তখন সেনাপতি ভাবলেন এই তপস্বীই হয়তো চোরেদের সর্দার, সৈন্যদের দেখে তপস্যার ভান করছে। তাই হয়তো কোনো কথার উত্তর দেয়নি। সেনাপতির হুকুমে চোরদের সাথে মান্ডব্যকেও বেঁধে নিয়ে যাওয়া হল রাজার কাছে। সকল বিবরণ শুনে ক্রুদ্ধ রাজা সবাইকে শূলে চড়ি...

বালখিল্য মুনি ও দেবরাজ ইন্দ্র এর দ্বন্দ, Balkhily The Lilliput Hermits #...

Image
বালখিল্য মুনি: আদিপর্ব ৩৬ পৃষ্ঠা একবার মহর্ষি কশ্যপ কঠোর তপস্যায় বসলেন। তার যজ্ঞের জন্য বিস্তর প্রয়োজন ছিল। সমস্ত মুনি ঋষি ও দেবগন যজ্ঞকাষ্ঠ সংগ্রহ করতে লাগলেন। দেবরাজ ইন্দ্র পর্বতপ্রমান এক কাঠের বোঝা নিয়ে মহর্ষির কাছে ফেলে ফিরে আসছিলেন। পথে তিনি একদল মুনিদের দেখলেন যারা আকারে ছিল অত্যন্ত ক্ষুদ্র, মানুষের বুড়ো আঙুলের সমান। এরা হলেন বিখ্যাত বালখিল্য মুনিগন। এরা সকলে মিলে একটি শুকনো পলাশ পাতা যজ্ঞের জন্য বয়ে নিয়ে আসছিলেন। পথের মাঝে গরুর পায়ের চাপে তৈরি হওয়া গর্তে জল জমে ছিল। ঋষিগন একে সমুদ্র ভেবে এর সামনে দাঁড়িয়ে ইতস্তত করছিলেন। দেবরাজ এই দৃশ্য দেখে হেসে উঠলেন।ইন্দ্রকে উপহাস করতে দেখে বালখিল্যগন অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তারা ইন্দ্রের চেয়ে শতগুণ বলিষ্ঠ দ্বিতীয় ইন্দ্রের জন্য এবার তপস্যা শুরু করলেন। নিজের অস্তিত্বের বিষয়ে শঙ্কিত হয়ে দেবরাজ মহর্ষি কশ্যপের কাছে ছুটে গেলেন। কশ্যপ ইন্দ্রকে আশ্বস্ত করে বালখিল্যদের বললেন, হে মুনিগন, স্বয়ং ব্রহ্মা একে দেবতাদের রাজা নির্বাচন করেছেন। এখন তোমরা আরেক ইন্দ্রের জন্য যজ্ঞ করে ব্রহ্মার বচনকেই তো লঙ্ঘন করতে চাইছ। আমার অনুরোধ, তোমরা সৃষ্টিকর্তার বিধান লঙ্ঘন...

সাপের জিভ চেরা কেন

Image
বন্ধুরা, আমাদের আগের পর্বে আমরা দেখেছি মহর্ষি কশ্যপের দুই স্ত্রী কদ্রু ও বিনতার গর্ভ থেকে কিভাবে সর্পকুল ও পক্ষিকুলের জন্ম হয়েছিল। কৌতূহল সংবরণ করতে না পেরে বিনতা একটি ডিম ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। সেই ডিম থেকেই অপরিনত অবস্থায় অরুণের জন্ম হল। পূর্ণতা প্রাপ্তির আগেই জন্ম দেওয়ার জন্য ক্রুদ্ধ অরুণ বিনতাকে অভিশাপ দিলেন। অপর ডিম থেকে যথা সময়ে পক্ষিরাজ গরুড়ের আবির্ভাব হল। ভিডিওটির লিংক ডেসক্রিপশনে দেওয়া আছে দেখে নিতে পারেন। চলুন তাহলে আজ দেখে নিই, গরুড় কিভাবে তার মাকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করলেন এবং সমস্ত সাপেদের জিভ কিভাবে চিরে গেল সেই রোমহর্ষক কাহিনী। সমুদ্রের অতল গহ্বর থেকে অমৃত উদ্ধার করার জন্য দেবতা ও অসুরেরা মিলে সমুদ্র মন্থন করলেন। অমৃতের সঙ্গে পাতাল থেকে উঠে এল মহা মূল্যবান রত্নরাজি, অপ্সরাগন, লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত, উচ্চৈঃশ্রবা, পারিজাত বৃক্ষসহ হলাহল নামক বিষ। জগতের মঙ্গলের জন্য মহাদেব সেই বিষ পান করে নীলকন্ঠ হলেন। এই কাহিনীর লিংকও ডেসক্রিপশনে দেওয়া আছে চাইলে দেখতে পারেন। সমুদ্র মন্থনে উঠে আসা উচ্চৈশ্রবা ঘোড়ার লেজের রং কী তাই নিয়ে কদ্রু ও বিনতার মতবিরোধ দেখা দিল। কদ্রু বললেন ঘোড়ার লেজের রং কালো...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat