Posts

Showing posts from October, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

দুর্গা পূজার ভাসান, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন, Durga Puja bisarjan

Image

লক্ষ্মীপূজার প্রচলন কিভাবে হয়েছিল, লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস, History of Lksh...

Image
লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস: হিন্দু ধর্মের দেবীদের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মী। সরস্বতী যেমন বিদ্যার দেবী, তেমনি মা লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পদ ও ঐশ্বর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর ঘরণী। সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও ধন সম্পদের আশায় প্রায় প্রতিটি হিন্দু গৃহে লক্ষ্মী পূজা করা হয়। বাংলায় লক্ষ্মী পূজার ইতিহাস সুপ্রাচীন। লক্ষ্মীর পাঁচালী অনুসারে, পৃথিবীতে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে ব্যাথিত নারদ একদিন মা লক্ষ্মীর কাছে উপস্থিত হয়ে তাদের কষ্ট দূর করার অনুরোধ করলেন।  লক্ষ্মী জানালেন, মানুষের মন পাপে ভরে গেছে, সর্বদাই তারা অপকর্মে ব্যস্ত। এই কারণেই তাদের এত দুর্দশা। নারদের বারংবার অনুরোধে মা লক্ষ্মী ধরাধামে এসে মানব জাতির দুঃখ ঘোচাতে সম্মত হলেন। অবন্তী নগরে ধনেশ্বর নামে এক বণিক বাস করতেন। বণিকের মৃত্যুর পর তার ছেলেরা সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ধনেশ্বরের বিধবা স্ত্রী আত্মহত্যা করতে এক বনের মাঝে উপস্থিত হলেন। দেবী লক্ষ্মী তার সামনে আবির্ভূত হয়ে তাকে আত্মঘাতী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করলেন। এবং বললেন, তুমি গৃহে গিয়ে পুত্রবধূদেরকে ভক্তিপূর্ণ চিত্তে লক্ষ্মী ব্রত করতে বলো, সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর হবে,...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

Image
পঞ্চসতী: পৌরাণিক বর্ণনা অনুযায়ী সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠ ও পবিত পাঁচজন নারী হলেন, অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরী। এরা পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা নামেও পরিচিত। ১. অহল্যা ছিলেন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার কন্যা ও ঋষি গৌতমের স্ত্রী। জগতের শ্রেষ্ঠ ও রূপবতী নারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্যা। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে দেবরাজ ইন্দ্র গৌতমের রূপ ধারণ করে অহল্যার সাথে মিলিত হয়েছিলেন। ধ্যান যোগে সব জানতে পেরে ঋষি গৌতম অহল্যা ও ইন্দ্র, দুজনকেই অভিশাপ দিয়েছিলেন। এই সম্পূর্ণ কাহিনীটি আলোকপাত চ্যানেলে পরবর্তীতে প্রচারিত হবে। ২. দ্রৌপদী ছিলেন দ্রুপদ রাজের কন্যা ও পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী। স্বয়ম্বর সভা থেকে অর্জুন তাকে লাভ করলেও মা কুন্তীর কথার ভুলে বাকী চার পান্ডবও দ্রৌপদীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। এই কাহিনীটি ইতিমধ্যেই আলোকপাত চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। ৩. কুন্তী ছিলেন পান্ডুর স্ত্রী ও পঞ্চপাণ্ডবের মা। আবার সম্পর্কে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পিসিমা। এছাড়া কুমারী অবস্থায় সূর্যদেবের সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি মহাবীর কর্ণের জন্ম দিয়েছিলেন। ৪. তারা ছিলেন বানর রাজ বালীর স্ত্রী ও মহাবীর অঙ্গদের জননী। এক দানবের সাথে যুদ্ধে গিয়ে দীর্...

অষ্টাবক্র মুনি, ইনি জন্মের আগেই মাতৃগর্ভে বসে শাস্ত্রজ্ঞ হয়েছিলেন

Image
অষ্টাবক্র : তপোবনের মনোরম পরিবেশে উদ্দালক মুনির আশ্রম। শিষ্য কহোড়ের সঙ্গে তিনি নিজ কন্যা সুজাতার বিয়ে দিয়েছিলেন। কহোড় ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত। এক সময় সুজাতা গর্ভবতী হলেন। গর্ভস্থ সন্তান গর্ভে থাকা কালীনই শুনে শুনে সমস্ত শাস্ত্র অধ্যয়ন করে ফেলল। এক দিন কহোড় সুজাতাকে শাস্ত্র পাঠ করে শোনাচ্ছেন এমন সময় গর্ভস্থ শিশু বলে উঠল, পিতা আপনার পাঠ সঠিক হচ্ছে না। ক্রুদ্ধ কহোড় রেগে গিয়ে গর্ভস্থ শিশুকে বললেন, গুরুজনের সাথে এরকম অভব্য আচরণের জন্য তোর শরীরের অষ্ট স্থানে বক্র হোক। গর্ভের দশম মাসে আর্থিক অনটনের কারনে কহোড় জনক রাজার সভায় সাহায্যের জন্য উপস্থিত হলেন। সেখানে শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত বন্দীর সঙ্গে শাস্ত্র বিচারে তিনি পরাজিত হলেন। বিচারের শর্ত অনুযায়ী বন্দী কহোড়কে নদীর জলে ডুবিয়ে দিলেন। এর কিছুদিন পর সুজাতা এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। গর্ভে থাকা কালীন পিতার অভিশাপের কারণে সদ্যজাতের শরীরের আট জায়গায় বক্র হল। এই জন্যই তার নাম হয়েছিল অষ্টাবক্র। বারো বছর বয়সে তিনি তার পিতার করুন পরিনতির কথা জানতে পারেন। মামা শ্বেতকেতুকে নিয়ে অষ্টাবক্র মিথিলায় উপস্থিত হলেন। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, উদ্দালক মুনির পুত্র ...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat