Posts

Showing posts from August, 2017

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

দ্রৌপদীর পাঁচজন স্বামী কিভাবে হলো

Image
দ্রৌপদীর পাঁচজন স্বামী কিভাবে হলো? Why Draupadi had 5 husbands? দ্রোণাচার্যের শিষ্য অর্জুনের কাছে পাঞ্চালের রাজা দ্রুপদ পরাজিত হন। অপমানিত দ্রুপদ দ্রোণকে পরাজিত করতে পারবে এমন এক পুত্রলাভের আশায় যজ্ঞের আয়োজন করেন। সেই যজ্ঞের আগুন থেকে এক অপরূপা নারীর জন্ম হয়। রাজা দ্রুপদ তাকে নিজের মেয়ে হিসাবে গ্রহণ করেন। দ্রুপদের কন্যা বলে তাঁর নাম হয় দ্রৌপদী। দ্রৌপদীর জন্মের পর আকাশবাণী হয় যে তাঁর থেকে কুরুবংশ ধ্বংশ হবে। দ্রৌপদী ছিলেন প্রকৃতপক্ষে দেবী পার্বতীর অবতার। যথা সময়ে দ্রৌপদীর বিবাহের জন্য সয়ম্বর সভার আয়োজন করা হয়। রাজা দ্রুপদ শর্ত রাখেন, শুন্যে দুলতে থাকা মাছের দিকে না তাকিয়ে যে মাছের চোখে তীর বিদ্ধ করতে পারবে, তার সাথেই তিনি মেয়ের বিয়ে দেবেন। অর্জুন এই শর্ত পূরণ করেন এবং তার সাথেই দ্রৌপদীর বিয়ে হয়। দ্রৌপদীকে নিয়ে পঞ্চ পান্ডব তাদের মা কুন্তীর কাছে উপস্থিত হন। কুন্তী তখন ঘরের মধ্যে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। বাইরে থেকে ভীম বলেন মা, এই দেখো আমরা ভিক্ষা এনেছি। কুন্তী প্রতিদিনের মত সেদিকে না তাকিয়েই বলেন, যা এনেছো পাঁচ ভাই ভাগ করে নাও। মায়ের কথা রাখতে বাকি চার ভাইও দ্রৌপদীকে বিয়ে করেন। দ্রৌপদী ...

সীতা ও রাবণের সম্পর্ক কী?

Image
মিথিলার রাজা জনক। একবার যজ্ঞ করার জন্য তিনি জমি চাষ করছিলেন। হঠাৎ তার লাঙ্গলের আঘাতে মাটির মধ্যে থেকে একটি পাত্র উঠে আসে। পাত্রটি খুলে তিনি দেখতে পান তার মধ্যে রয়েছে এক সদ্যজাত ফুটফুটে শিশু কন্যা। সন্তান স্নেহে তিনি বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নেন। জমি চাষ করার সময় যে রেখা তৈরি হয় তাকে বলে সীতা। এই জন্যই রাজা জনক মেয়ের নাম রাখেন সীতা।  অদ্ভুত রামায়ণ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, সীতা ছিলেন রাবণ ও মন্দদরীর কন্যা। তাঁর জন্মের আগে গণকরা জানিয়েছিলেন, তিনি রাবণের ধ্বংসের কারণ হবেন। তাই মেয়ের জন্মের পর,  রাবণ তাঁকে একটি পাত্রে বন্দি করে, গোপনে মিথীলা রাজ্যে রেখে আসেন। আনন্দ রামায়ণ গ্রন্থে বলা হয়েছে, রাজা পদ্মাক্ষের কন্যা পদ্মাই পরজন্মে সীতা রূপে জন্ম গ্রহণ করেন। রাবণ পদ্মার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি আগুনে আত্মঘাতী হন। পরোজন্মে তিনিই সীতা রূপে জন্ম গ্রহণ করেন, এবং রাবণের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ান। আর একটি প্রচলিত ধারণা হলো, সীতা পূর্বজন্মে ছিলেন বেদবতী নামে এক পুণ্যবতী নারী। রাবণ তাঁর শ্লীলতাহানি করতে চাইলে, তিনি রাবণকে অভিশাপ দেন যে, তিনি পরোজন্মে রাবণকে হত্যা করবেন। রামায়ণের কিছু অন...

গণেশের মুখ হাতির মতো কেনো?

Image
গজানন গনেশের জন্মের একাধিক কাহিনী প্রচলিত। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনীটি পাওয়া যায়, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গদা-পদ্ম-শঙ্খ-চক্র ধারী মোহন রূপে মুগ্ধ হয়ে, দেবী পার্বতী শ্রীহরির মতো এক পুত্র সন্তান কামনা করেন। দেবীর মনোবাসনা পূর্ণ করতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গনেশ রূপে আবির্ভূত হন। জন্মের সময় গনেশ কিন্তু আর পাঁচটা শিশুর মতো স্বাভাবিক ছিলেন। শিব ঠাকুরের ঘরে সন্তানের আবির্ভাবের সংবাদ পেয়ে, সমস্ত দেবতা ও ঋষিগন তাকে আশীর্বাদ করতে উপস্থিত হন। গুটি গুটি পায়ে উপস্থিত হন শনিদেবও। তার কূ-দৃষ্টির কথা সকলেরই জানা ছিল। তাই তিনি সদ্যজাতো ভাগ্নে, গনেশের মুখ দেখতে অস্বীকার করেন। কিন্তু দেবী পার্বতীর বারংবার অনুরোধে, তিনি শেষ পর্যন্ত, ভাগ্নের মুখ দেখতে সম্মত হন। ভয়ে ভয়ে বাঁ চোখের কোন দিয়ে শিশু গনেশের দিকে তাকালেন শনিদেব। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে গেল শেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। শনির দৃষ্টিতে  শিশু গনেশ  মস্তকবিহীন হয়ে গেলেন।(শনিদেব কারো দিকে তির্যক দৃষ্টিতে তাকালে তার ধ্বংস অনিবার্য) সদ্যজাত পুত্রের এই মর্মান্তিক পরিণতি দেখে জ্ঞান হারালেন দেবী পার্বতী। চারিদিকে নেমে এল শোকের ছায়া। লজ্জায় মাথা নিচু ক...

নারদ ভগবানকে অভিশাপ দিয়েছিলেন কেনো?

Image
বীণা বাজিয়ে ঘুরতে ঘুরতে হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার তীরে এক মনোরম আশ্রমে উপস্থিত হন দেবর্ষি নারদ। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি সেই আশ্রমে ধ্যানমগ্ন হলেন। নারদের এই সমাধি দেখে ইন্দ্রের ভয় হল। তিনি ভাবলেন, নারদ হয়তো তপোবলে তাঁর স্বর্গরাজ্য দখলের চেষ্টা করছেন। ইন্দ্র নারীদের ধ্যানভঙ্গ করার জন্য কামদেবকে আদেশ করলেন। মদনের মায়ায় সেই আশ্রমে বসন্তকাল উপস্থিত হলো। নানা রঙের ফুল ফুটল । কোকিল গান গাইল । ভ্রমর গুঞ্জন করল। শীতল মৃদু -মন্দ সুগন্ধি বাতাস বইল । উর্বশী, রম্ভা প্রমূখ অপ্সরাগণ নানা ভঙ্গিতে শরীর আন্দোলিত করে নৃত্য পরিবেশন করল। কিন্তু অপ্সরাদের শত চেষ্টাতেও নারদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলো না। তখন তারা অভিশাপের ভয়ে দেবর্ষি নারদের চরণে ক্ষমা প্রার্থনা করল। নারদ সকলকে ক্ষমা করে দিলেন। দেবর্ষি নারদের এই ঘটনায় খুব অহঙ্কার হল। তিনি কৈলাসে গিয়ে শিবকে বেশ গর্বের সঙ্গে এই ঘটনা বর্ণনা করলেন। শিব বললেন, আপনি এটা যেভাবে আমাকে বর্ণনা করলেন, তা কখনও ভগবান শ্রীহরিকে বলবেন না। কিন্তু নারদের শিবের উপদেশ ভালো লাগল না। তিনি বীণায় হরি গুণগান করতে করতে ক্ষীরসমুদ্রে শ্রীহরির কাছে উপস্থিত হলেন। ...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat