Posts

Showing posts from July, 2020

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

জানেন, কৃষ্ণাষ্টমী ব্রতের সঙ্গে কৃষ্ণের কোনো সম্পর্ক নেই? Krishnastami, ...

Image
কৃষ্ণাষ্টমী ব্রতের সঙ্গে কৃষ্ণের কোনো সম্পর্ক নেই বন্ধুরা Alokpat চ্যানেলের পক্ষ থেকে আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব কৃষ্ণাষ্টমী ব্রতের মাহাত্ম্য । মৎস পুরাণের ১৯৯ পৃষ্ঠার বর্ণনা অনুযায়ী এই ব্রত পালন করলে মানুষ সব পাপ থেকে মুক্তি পায়, মানসিক শান্তিলাভ করে এবং জীবনান্তে শিবলোকে স্থান পায়। নাম কৃষ্ণাষ্টমী ব্রত হলেও এটা আসলে ভগবান শিবের ব্রত। অনেকেই জন্মাষ্টমী উৎসবের সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেলেন। প্রকৃতপক্ষে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথে এর সম্পর্ক নেই। মূলতঃ বছরের ১২ মাসের প্রত্যেক কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে উপবাস থেকে শুদ্ধ চিত্তে ভগবান শিবের বিভিন্ন রূপের আরাধনা করা হয়। মৎস পুরাণ অনুযায়ী অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণাষ্টমীতে শঙ্করকে, পৌষ মাসে শম্ভুকে, মাঘে মহেশ্বরকে, ফাল্গুন মাসে মহাদেবকে, চৈত্র মাসে স্থানুকে, বৈশাখে শিবকে, জৈষ্ঠ্য মাসে পশুপতিকে, আষাঢ়ে উগ্রকে, শ্রাবণ মাসে শর্ব্বকে, ভাদ্রে ত্রম্ব্যককে, আশ্বিন মাসে হরকে এবং কার্তিক মাসের কৃষ্ণাষ্টমীতে ঈশানকে অর্চনা কারা হয়। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের বছরের সমস্ত কৃষ্ণাষ্টমী ব্রত পালন করে বিভিন্ন দান ধ্যানাদি করতে বলা হয়েছে। রাত্রিকালীন এই ব্রতে অর্ঘ্য, কৃষ্...

বৃদ্ধ অগস্ত্য জগতের সব সৌন্দর্য দিয়ে তৈরি করলেন লোপামুদ্রাকে, তারপর বিয়ে...

Image
লোপামুদ্রা   প্রাচীন ভারতীয় বিদুষী নারীদের মধ্যে লোপামুদ্রা অন্যতম। তিনি ছিলেন মহামুনি অগস্ত্যের স্ত্রী। বেদের মন্ত্রদ্রষ্টা নারীদের মধ্যে লোপামুদ্রার নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তার জন্মের কাহিনীটাও কম চমকপ্রদ নয়। এখানে রাজশেখর বসু অনুদিত মহাভারতের বনপর্বের ১৮২ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত কাহিনীটি তুলে ধরা হল। বনের পথে ঘুরতে ঘুরতে মহামুনি অগস্ত্য একদিন লক্ষ্য করলেন, তার পিতৃপুরুষ গন একটি গর্তের মধ্যে মাথা নিচের দিক করে ঝুলে আছেন। আশ্চর্য হয়ে তিনি এর কারণ জানতে চাইলেন। পিতৃপুরুষগন  বললেন, বংশলোপ পাওয়ার ভয়ে আমারা এভাবে কষ্ট ভোগ করছি। তুমি আমাদের একমাত্র বংশধর। তুমি যদি বিবাহ করে সৎ পুত্রের জন্ম দাও, তাহলেই আমাদের বংশ রক্ষা হবে। অন্যথায় আমাদের অনন্ত নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হবে। অগস্ত্য তাদের আশ্বস্ত করে বললেন, আপনারা নিশ্চিন্ত হন। আমি আপনাদের অভিলাষ পূর্ণ করব। তারপর নিজের উপযুক্ত স্ত্রী লাভের জন্য, তিনি ধ্যানে বসে চরাচরের সমস্ত প্রাণীর শ্রেষ্ঠ অঙ্গগুলো একত্রিত করে এক নারীর কল্পনা করলেন। সেই সময় বিদর্ভ দেশের রাজা সন্তান কামনায় তপস্যা করছিলেন। বিদর্ভ রাজ মহিষীর গর্ভ থেকে অগস্ত্যের কাঙ্ক্ষিত রমণ...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat