Posts

Showing posts from November, 2019

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

ভীষ্মের জন্ম, গঙ্গা পুত্র ভীষ্ম, শান্তনু ও গঙ্গা প্রেম, Birth Bhishma,

Image
গঙ্গা পুত্র ভীষ্মের জন্ম একদিন হস্তিনাপুরের‌ পরম ধার্মিক রাজা শান্তনু মৃগয়ার জন্য বনে গেলেন। বিভিন্ন স্থান ঘুরে তিনি এক সময় গঙ্গার তীরে উপস্থিত হলেন। ঠিক তখনই জাহ্নবী অর্থাৎ গঙ্গাদেবী তার সামনে প্রকট হলেন। জহ্নবীর চোখ ধাঁধানো রূপে মোহিত হয়ে শান্তনু তাকে রাজ রাণী করার বাসনা ব্যক্ত করলেন। গঙ্গা বললেন, আমি আপনার ঘরণী হতে পারি, কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে। আপনি কোনোদিন আমার কোনো কাজে বাধা দিতে পারবেন না। যেদিন আপনি আমার কাজে বাধা দেবেন সেদিনই আমি আপনাকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে যাব। রাজা বললেন, তাই হবে। আমি তোমার কোনো কাজেই ব্যাঘাত ঘটাবো না। তারপর মহা সমারোহে রাজা শান্তনু ও গঙ্গার বিবাহ সম্পন্ন হল। পরম সুখে তাদের দিন অতিবাহত হতে থাকে। এক সময় গঙ্গা এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। কিন্তু শান্তনু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন, তার স্ত্রী সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে দ্রুত পায়ে নদীর দিকে চলেছেন। কৌতূহলী রাজা তাকে অনুসরণ করে গঙ্গার তীরে এলেন। তিনি স্তম্ভিত হয়ে লক্ষ্য করলেন তার স্ত্রী সদ্যজাত শিশু পুত্রকে নদীর জলে ফেলে দিয়ে নির্বিকার চিত্তে প্রাসাদে ফিরে চললেন। পূর্বের‌ শর্তের কথা মনে করে স্ত্রীকে হারানোর ভ...

৩৩ কোটি দেবতার সম্পূর্ণ পরিচয়, ৩৩ কোটি নাকি ৩৩ প্রকার দেবতা? How many Go...

Image
সত্যিই কি হিন্দু ধর্মে ৩৩ কোটি দেবতা রয়েছে?  প্রথমেই জানিয়ে রাখি সংস্কৃত ভাষায় 'কোটি' শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে। একটি হল 'প্রকার' অপরটি 'সংখ্যা বিশেষ'। অথর্ব বেদের দশম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, যস্য ত্রয়স্ত্রিংশদ্ দেবা অঙ্গে সর্বে সমাহিতাঃ। স্কম্মং তং ব্রুহি কতমঃ স্বিদেব সঃ।। অর্থাৎ পরমেশ্বরের প্রভাবে এই ৩৩ দেবতা সমগ্র বিশ্বে ব্যাপ্ত হয়ে আছেন। পরমেশ্বর বলতে পরমব্রহ্মকে বোঝানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই পরমব্রহ্ম থেকেই সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, দেব দেবী, স্থাবর জঙ্গম সমস্ত কিছুর সৃষ্টি হয়েছে। বৃহদারণ্যক উপনিষদেও ৩৩ দেবতার উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ৩৩ প্রকার দেবতা হলেন, একাদশ রুদ্র, দ্বাদশ আদিত্য, অষ্টবসু এবং অশ্বিনী কুমারদ্বয়। (১১+১২+৮+২=৩৩) এর থেকে এটা পরিষ্কার যে হিন্দুদের ৩৩ প্রকার দেবতা রয়েছে, ৩৩ কোটি নয়। এবার দেখা যাক এদের সম্পূর্ণ পরিচয়। একাদশ রুদ্র: রুদ্র হলেন সংহারের দেবতা। রুদ্রগনের অধিপতি স্বয়ং মহাদেব। কোনো কোনো গ্রন্থে একাদশ রুদ্রকে ভগবান শিবের ১১টা রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ঋগ্বেদে একাধিক বার রুদ্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা হলেন, মন্যু, ম...

রাজা ইল প্রতি ১ মাস পরপর নারী ও পুরুষে রূপান্তরিত হতেন কিভাবে? The story...

Image
রাজা ইলের কাহিনী (মৎস পুরাণ ৩৪ পৃষ্ঠা) বন্ধুরা আলোকপাতে আপনাকে স্বাগত। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো রাজা ইলের কাহিনী। ইনি প্রতি এক মাস পর পর পুরুষ থেকে নারী এবং নারী থেকে পুনরায় পুরুষে রূপান্তরিত হতেন। এমনকি নারী থাকা অবস্থায় তিনি সন্তানও প্রসব করেছিলেন। চলুন দেখে নিই সেই অদ্ভুত ও রহস্যময় কাহিনী। কাহিনীটি সংগ্রহ করেছি মৎস্য পুরাণের ৩৪ নং পৃষ্ঠা থেকে। আপনাদের অনুরোধ করবো ভিডিওটা সম্পূর্ণ দেখুন এবং অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করুন। বন্ধুরা ভগবান রামচন্দ্রের সম্পূর্ণ বংশ পরিচয়ে আমরা আগেই দেখিয়েছি মনুর থেকে একে একে সমগ্র মানব জাতির সৃষ্টি হয়। মনুর দশজন পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন রাজা ইল। ইনি ভগবান রামচন্দ্রের পূর্ব পুরুষ ইক্ষাকুর বড় ভাই। একবার তিনি তেজস্বী ঘোড়ায় চড়ে দিগ্বিজয়ে বের হন। তার প্রতাপে পার্শ্ববর্তী সমস্ত রাজা পরাজিত হন। সমগ্র পৃথিবী জয়ের লক্ষ্যে তিনি আরো দূর দূরান্তে ছুটে চলেন। এক সময় তিনি ভগবান শিবের শরবনে প্রবেশ করেন। এই শরবনের এক সুরম্য শরোবরে মহাদেব পার্বতীকে নিয়ে জলকেলি করেন। নিভৃতে সময় কাটানোর জন্য তিনি নিয়ম করে দেন এই শরোবরের থেকে চারিদিকে দশ যোজনের মধ্যে যদি কোনো প্রা...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat