Posts

Showing posts from July, 2019

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

হিন্দু ধর্মে ও দৈনন্দিন জীবনে ৫ এর গুরুত্ব, #পঞ্চকন্যা, #পঞ্চশস্য, #পঞ্চ...

Image
হিন্দু ধর্মে ও দৈনন্দিন জীবনে ৫ এর গুরুত্ব বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ৩,৫,৭ এই সংখ্যা গুলি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সে তিন সত্যি করে দিব্যি দেওয়া হোক বা পাঁচে পঞ্চবান অথবা সাত পাকে বাঁধা পড়া সর্বত্রই এই সংখ্যা গুলো তাদের উপস্থিতির জানান দিয়ে যায় আমাদের অজান্তেই। চলুন বন্ধুরা, আজ পঞ্চ বা ৫ সংখ্যাটিকে নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক। পঞ্চ শষ্য: ধান, যব, তিল, মুগ ও মাস কলাই পঞ্চ গব্য: দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, গোময় বা গোবর ও গোমূত্র পঞ্চ পল্লব: আম, কাঠাল, অশোক, বকুল ও অশ্বত্থ পঞ্চামৃত: দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, মধু ও চিনি পঞ্চ রত্ন: হিরক, মুক্তা, প্রবাল, পদ্মরাগ (অভাবে রৌপ্য) ও স্বর্ণ পঞ্চগুণ: রূপ, রস, শব্দ, গন্ধ ও স্পর্শ পঞ্চ বান: সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তাপন ও স্তম্ভন পঞ্চভূত: ক্ষিতি, অপ, ত্যেজ, মরুৎ, ব্যোম পঞ্চ পান্ডব: যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, সহদেব ও নকুল পঞ্চ বটী: অশোক, অশ্বত্থ, বট, বেল ও আমলকি পঞ্চকন্যা: অহল্যা, তারা, মন্দোদরী, কুন্তী ও দ্রৌপদী

রাম ও পরশুরামের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল কেন?������

Image
পরশুরামের দর্পচূর্ণ: বন পর্ব ত্রেতা যুগে ভগবান বিষ্ণু জন্মগ্রহণ করলেন শ্রীরাম চন্দ্র রূপে এবং মিথিলায় জনক রাজার কন্যা সীতা রূপে এলেন লক্ষ্মী দেবী। কন্যার জন্য উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন করতে রাজপ্রাসাদে রাখলেন ভগবান শিবের হরধনু। শর্ত রাখলেন যে মহাবীর এই ধনুকে জ্যা পরাতে পারবেন তার হাতেই তিনি কন্যা সম্প্রদান করবেন। অনেক রথী মহারথী ব্যর্থ চেষ্টা করে অপমানিত হয়ে ফিরে গেলেন। ওদিকে গুরুদেব বিশ্বামিত্রের আশ্রমে বীরদর্পে রাক্ষস নিধন করে ঋষিদের যজ্ঞ রক্ষা করলেন রামচন্দ্র। শিষ্যের বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে তিনি একদিন রামচন্দ্রকে জনক রাজার প্রতিজ্ঞার কথা বললেন। যথা সময়ে মিথিলায় এসে হরধনু ভঙ্গ করে সীতাকে লাভ করলেন রামচন্দ্র। তিনি নববধূকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যায় চললেন। পথে বনের মধ্যে হঠাৎ করে তাদের পথ আগলে দাড়ালেন মহাতেজি পরশুরাম। কুঠার ও ধনুর্বাণ হাতে রক্তবর্ণ চক্ষে তিনি হুংকার দিয়ে বললেন, হে দাশরথি, পুরনো এক জীর্ণ ধনুক ভেঙে নিজেকে মহা বলশালী ভাবছ? আমি নিজে ২১ বার পৃথিবী থেকে ক্ষত্রিয় শুন্য করেছি। ক্ষমতা থাকলে আমার ধনুকে গুন পরিয়ে দেখাও। এই বলে পরশুরাম নিজের ধনুক খানি রামের সামনে ছুড়ে দিলেন। রামচন্দ্র ধনুক তুল...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat