Posts

Showing posts from May, 2019

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

রাবণ ও যমের যুদ্ধে কে জিতেছিল? Battle of Ravana and Yam

Image
রাবন ও যমের যুদ্ধ সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার আশীর্ব্বাদে রাবণ অনন্ত শক্তি লাভ করে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল করায়ত্ত করার বাসনায় দিগ্বিজয়ে বের হলেন। তার নীতি ছিল, যার শক্তি কম তাকে যুদ্ধে পরাজিত করা এবং যার শক্তি বেশি তার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করা। এভাবে তিনি অনেক রাজ্য জয় করলেন। আবার কার্তবীর্জার্জুন, বালী প্রভৃতি রাজার কাছে পরাজিত হয়ে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলেন। এরই মাঝে একদিন পথে নারদের সাথে রাবণের দেখা হল। নারদ বললেন, হে দশানন, তোমার প্রজাদের দেখ আত্মীয় স্বজন হারিয়ে কত দুঃখে আছে। যমরাজই সমস্ত মৃত্যুর কারন। তুমি যদি যমরাজকেই পরাস্ত করতে পার, তবে প্রজারা সুখে থাকবে এবং তোমাকে ভগবানের মত পূজা করবে। নারদের কথার ফাঁদে পড়ে উৎসাহিত রাবণ চললেন যমলোকের দিকে। এদিকে রাবণকে মন্ত্রনা দিয়ে নারদ দ্রুতবেগে যমরাজের কাছে গিয়ে বললেন, যমরাজ তুমি নিশ্চিন্তে বসে আছ? ওই দেখ রাবণ সৈন্য সামন্ত নিয়ে তোমাকে হত্যা করতে আসছে। বলেই তিনি সেখান থেকে সরে পড়লেন। রাবনের ঔদ্ধত্য দেখে যমরাজ অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলেন। প্রথমে যমদূতদের সঙ্গে রাবনের  যুদ্ধ হল। যমদূতেরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেলে স্বয়ং যমরাজ সম্মু...

জানেন, পূর্বজন্মে রাবন সীতার সঙ্গে কি করেছিল? past life of Sita. The cur...

Image
Past life of Sita and The curse of Ravana সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে দশানন রাবণ দিগ্বিজয়ে বেরলেন। প্রথমেই বৈমাত্রেয় ভাই কুবেরকে পরাজিত করে স্বর্ণ লঙ্কায় রাক্ষস রাজত্ব কায়েম করলেন। তারপর কৈলাশ পর্বত উপড়ে ফেলতে গিয়ে মহাদেবের হাতে নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরে এলেন। এই কাহিনী গুলো আলোকপাত চ্যানেলে আগেই সম্প্রচারিত হয়েছে। ভিডিওর শেষে অবশ্যই দেখে নিন। কৈলাশ পর্বত থেকে রাবণ এলেন হিমালয়ে। সেখানে গিয়ে তিনি অবাক বিস্ময়ে দেখতে পেলেন এক অনন্ত রূপযৌবনা ও পরমা সুন্দরী নারীকে। মাথায় জটা ও কৃষ্ণ বস্ত্র পরিধান করে এক তপস্বিনীর মত তিনি জীবন যাপন করছেন। রাবনকে দেখে অতিথি মনে করে তার যথাযথ আপ্যায়ন করলেন। কামার্ত রাবন তাকে এই মনোহর রূপ লাবণ্য নিয়ে আশ্রম বাসীর জীবন কাটানোর কারন ও তার পরিচয় জানতে চাইলেন। তখন সেই রহস্যময়ী নারী বললেন, শুনুন মহারাজ, আমি বৃহস্পতির পৌত্রী এবং কুশধ্বজের কন্যা। আমি অযোনিসম্ভবা। বেদ পাঠের সময় পিতার মুখ থেকে আমার উৎপত্তি। তাই আমার নাম বেদবতী। দেব দানব সকলে আমাকে পাবার জন্য আকুল। কিন্তু আমার বাবা স্বয়ং বিষ্ণুকে আমার পতি নির্বাচন করেছেন। এরপর শম্ভু নামে এক দৈত্য আমার পিতাকে হত্যা করলে...

রাবণ কৈলাশ পর্বত উপড়ে ফেলেছিল কেন? Why Ravana lifted the Kailash Parvat?������

Image
 রাবণের কৈলাশ উত্তোলন দশ হাজার বছরের কঠোর তপস্যার পর রাবণ ব্রহ্মার দেখা পেয়েছিলেন। এজন্য তাকে, একে একে নিজের হাতেই নিজের ৯টি মাথা কেটে ফেলতে হয়েছিল। সৃষ্টিকর্তার বরে অনন্ত শক্তির অধিকারী হওয়ার পর, রাবনের মাতামহ সুমালি রাক্ষসের নেতৃত্বে সকল রাক্ষসরা রাবণকে তাদের সম্রাট নির্বাচন করলেন।  তাদের প্রধান লক্ষ্য কুবেরে হাত থেকে স্বর্ণ লঙ্কার পুনরুদ্ধার এবং ত্রিভূবন জুড়ে রাক্ষস সাম্রাজ্য বিস্তার করা। বিপুল উৎসাহে লক্ষ লক্ষ রাক্ষস সৈনিক নিয়ে প্রথমেই তারা কুবেরকে আক্রমণ করলেন। দেবতার বরে কুবের অমর হয়েছিলেন। তাই তার মৃত্যু ভয় ছিল না। কিন্তু নিজের ভাই বলে রাবনের কাছে অতি সহজেই পরাজয় স্বীকার করলেন।  লঙ্কা জয় করে রাবণ সমুদ্র পার হয়ে কৈলাশ পর্বতে উপস্থিত হলেন। কৈলাশ পর্বত হল দেবাদিদেব মহাদেবের বাসস্থান। কুবেরকে জয় করার অহংকারে রাবণ তখন টগবগ করে ফুটছেন। শিব ঠাকুরকে এই সংবাদ দেবার জন্য তিনি কৈলাশে এসেছেন। সেই সময় মহাদেবের দ্বাররক্ষী রূপে নিযুক্ত ছিলেন নন্দী। রাবনকে তিনি ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দিলেন। অট্টহাস্য করে দশানন তাকে বানর বলে উপহাস করলেন। নন্দী বললেন, আমাকে বানর বলে টিটকারী...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat