Posts

Showing posts from September, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

খনার জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল কেন? #খনা, The story of Khona

Image
খনা/ ক্ষনা গ্রামে বাস করেন অথচ বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখে 'খনার বচন' শোনেন নি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। খনার জ্ঞানের পরিধি এতটাই বিস্তার লাভ করেছিল যে ঈর্ষা বশত তার জীভ কেটে দেওয়া হয়েছিল। বন্ধুরা আজ আপনাদের শোনাবো খনার জীবনের সেই মর্মস্পর্শী রোমহর্ষক কাহিনী। প্রাচীন বাংলার বিচক্ষণ ও মেধাবী নারীদের নাম করলে প্রথমেই যার নাম আসে, তিনি খনা। তৎকালীন পুরুষ শাসিত সমাজ তার প্রতিভার মর্যাদা দিতে না পারলেও লোকশ্রুতি ও কিংবদন্তি তাকে অমর করে রেখেছে। খনা সম্পর্কে ইতিহাস নির্ভর পোক্ত প্রমান নেই বললেই চলে। যা আছে তা হলো লোকমুখে প্রচলিত গাথা ও জনশ্রুতি। আনুমানিক ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে কোন এক সময় খনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তার পিতার নাম ছিল অনাচার্জ। আরেকটি মত অনুযায়ী তিনি ছিলেন সিংহল রাজের কন্যা। শুভক্ষণে জন্মেছিলেন বলে তার নাম রাখা হয় ক্ষণা। তৎকালীন সময়ে বঙ্গদেশে বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ ছিলেন বরাহ। নিজের পুত্র মিহিরের জন্ম হলে তিনি কোষ্ঠি গননা করে দেখলেন এর আয়ু মাত্র এক বছর। যদি কোনো দৈববশে পুত্রের প্রাণ রক্ষা হয় এই আশায় পিতা বরাহ সদ্যজাত মিহিরকে একটি পাত্রে রেখে  সাগরে ভাসিয়ে দি...

সগর গঙ্গার মর্ত্যে আগমন ষাট হাজার পুত্রের মৃত্যু ও গঙ্গার মর্ত্যে আগমন

Image
সগর গঙ্গার মর্ত্যে আগমন ষাট হাজার পুত্রের মৃত্যু ও গঙ্গার মর্ত্যে আগমন অসুর নিধন করার জন্য দেবতাদের অনুরোধে অগস্ত্য মুনি সমুদ্রের সব জল পান করলেন। সমুদ্র জনশূন্য হল। অগস্ত্য সমুদ্রকে সেই জল আর ফিরিয়ে দেননি। বন্ধুরা আজ আপনাদের শোনাবো সমুদ্র আবার কিভাবে জল পূর্ণ হল এবং সগর রাজার ষাট হাজার পুত্রের ভষ্ম হয়ে যাওয়ার সঙ্গে এর কী সম্পর্ক সেই অদ্ভুত কাহিনী। ভগবান রামচন্দ্রের পূর্ব পুরুষ ছিলেন রাজা সগর। তার ছিল দুই স্ত্রী কোশিনী ও সুমতি। কোশিনীর গর্ভে জন্মেছিলেন অসমঞ্জ এবং সুমতির গর্ভে একবারে জন্মেছিলেন ষাট হাজার পুত্র। এক সময় সগর রাজা একশোটি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সংকল্প করলেন। একে একে ৯৯টি যজ্ঞ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল। আর মাত্র একটি যজ্ঞ সম্পূর্ণ করতে পারলেই তিনি দেবরাজ ইন্দ্রের সমকক্ষ হয়ে যাবেন। রাজা সগর শততম যজ্ঞের ঘোড়াটিকে রক্ষা করার দায়িত্ব দিলেন তার ষাট হাজার পুত্রকে। বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করে ঘোড়া এসে পৌঁছাল জনশূন্য বঙ্গোপসাগরের তীরে। অগস্ত্য মুনি সমুদ্রের সব জল পান করে কিভাবে তাকে জনশূন্য করে দিয়েছিলেন সেই ঘটনা 'আলোকপাত' চ্যানেলের আগের ভিডিওতেই দেখানো হয়েছে। দেবরাজ ইন্দ্র ঈর্ষান্...

দধীচির হাড়? অগস্ত্য সমুদ্রের সব জল পান করেছিলেন কেন?����

Image
দধীচি: P-184 রাজশেখর বসু অনুদিত সত্যযুগে কালেয় নামে এক অত্যাচারী অসুরের দল ছিল। বৃত্রাসুরের নেতৃত্বে তারা স্বর্গ আক্রমণ করে। মহাশক্তিধর বৃত্রাসুরকে বধ করার মতো অস্ত্র তখনো তৈরী হয়নি। চিন্তিত দেবতাগন আলোচনায় বসলেন। জানা গেল একমাত্র দধীচি মুনি হাড় দিয়ে তৈরী অস্ত্র দিয়েই এই দানবকে হত্যা করা সম্ভব। ব্রহ্মার নির্দেশে দেবতাগন দধীচির কাছে গিয়ে তার চরণ বন্দনা করে সব বৃত্তান্ত জানালেন। দেবতা ও স্বর্গরাজ্যকে রক্ষা করতে তিনি সানন্দে নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন। দধীচির মৃতদেহ থেকে অস্থি সংগ্রহ করে দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার কাছে নিয়ে যাওয়া হল। অত্যন্ত যত্নে এবং নিপুণ দক্ষতায় তিনি নির্মান করলেন এক অমোঘ অস্ত্র, বজ্র। এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হল দেবরাজ ইন্দ্রের হাতে। এবার দেবতরা নতুন উদ্যমে কালেয় দস্যুদের আক্রমণ করলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্রের আঘাতে বৃত্রাসুর মারা পড়ল। ছত্রভঙ্গ দস্যুরা পালিয়ে গিয়ে সমুদ্র গর্ভে আশ্রয় নিল। পুনরায় স্বর্গে দেবতাদের আধিপত্য কায়েম হল। কিন্তু এরপর দেখা দিল এক নতুন উৎপাত। কালেয় দস্যুরা রাতের অন্ধকারে সমুদ্র থেকে উঠে এসে মুনি ঋষিদের আক্রমণ করে তাদের হত্যা করতে লাগলো। তাদের আশ্রম লন্ডভন...

উর্বশী অর্জুনকে হিজড়া হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন কেন, The Curse of Urvashi

Image
বন্ধুরা আমাদের আগের এপিসোডে আমরা দেখেছি, নিজের পুত্রের হাতে অর্জুনের মৃত্যু এবং সঞ্জীবন মনির স্পর্শে তার পুনরায় জীবন লাভ। এবং চিত্রাঙ্গদা ও অর্জুনের প্রেমের কাহিনী। চলুন আজ দেখে নিই ঊর্বশীর কেন অর্জুনকে হিজড়া হয়ে যাবার অভিশাপ দিয়েছিলেন। কৌরবদের সঙ্গে পান্ডবদের পাশা খেলা চলছে। মামা শকুনির কপটতায় পান্ডবেরা কৌরবদের কাছে একে একে সর্বস্ব হারালেন। ভরা সভায় দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের চেষ্টা করা হল। নত বদনে সব অপমান সহ্য করে দ্রৌপদী সহ পঞ্চপাণ্ডব ১২ বছরের জন্য বনবাসে গেলেন। কৌরবদের আচরণে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বিনা যুদ্ধে  তারা পান্ডবদের রাজ্য ফেরত দেবেন না।  নিরস্ত্র পান্ডবদের পক্ষে যুদ্ধজয় অসম্ভব। তাই যুধিষ্ঠিরের পরামর্শে দিব্যাস্ত্র লাভের আশায় অর্জুন দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে উপস্থিত হলেন। অর্জুন ছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রের পুত্র। পান্ডুর অনুরোধে কুন্তী পুত্রেষ্টি মন্ত্র জপ করে দেবরাজ ইন্দ্রের কাছ থেকে অর্জুনকে পুত্র রূপে পেয়েছিলেন। ইন্দ্রলোকে অবস্থান কালে অপ্সরা ও গন্ধর্বদের নাচ গানে আকৃষ্ট হয়ে তিনি চিত্রসেনের কাছে কিছুদিন নৃত্য-গীত অনুশীলন করেন। একদিন ঊর্বশী লক্ষ্য করলেন নৃত্য চলাকালী...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat