Posts

Showing posts from July, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

বলরাম অবতার

Image
সপ্তম অবতারে ভগবান বিষ্ণু আবির্ভূত হলেন শ্রী রামচন্দ্র রূপে। বানরসেনার সহায়তায় রাক্ষসরাজ রাবণের হাত থেকে উদ্ধার করে আনলে সীতাকে। অষ্টম অবতারে তিনি এলেন বলরাম রূপে। বলরাম হলেন শ্রী কৃষ্ণের বড় ভাই। নিষ্ঠুর কংসের অত্যাচারে রাজ্যবাসী অতিষ্ঠ। কিন্তু কংসরাজের বিরুদ্ধে দাড়ানোর মতো কেউ নেই। এভাবেই সব চলছিল, একদিন এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটল। কংসরাজের উপস্থিতিতে তার বোন দেবকীর সঙ্গে বাসুদেবের বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। তখনই আকাশ থেকে দৈববাণী হল, দেবকীর গর্ভের অষ্টম সন্তান কংসের মৃত্যুর কারণ হবে। ক্রুদ্ধ কংসরাজ তখনই নব দম্পতিকে বন্দি করে কারাগারে নিক্ষেপ করলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় দেবকী একে একে ছয়টি সন্তান প্রসব করলেন। প্রত্যেকটি সন্তানকেই কংস নিজের হাতে পাষাণ বাদীতে আছড়ে হত্যা করলেন। অষ্টম গর্ভে শ্রীহরি স্বয়ং আসবেন কংসকে নিধন করতে। জগতে তার কর্ম সহচর  রূপে নিজেরই এক অংশকে বলরাম রূপে সপ্তম গর্ভে পাঠালেন শ্রীহরি। জন্ম মাত্রই কংস তাকেও পাষাণ বেদীতে আছড়ে হত্যা করবেন। তাই জন্মের আগেই দেবকীর গর্ভের ভ্রুন বাসুদেবের অপর স্ত্রী রোহিনীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হলো। যথা সময়ে রোহিনী বলরামের জন্ম দিলেন এবং দেবকী এক...

পরশুরাম তার মাকে হত্যা করেছিলেন কেন? Why Parashuram killed his mother?

Image
ক্ষত্রিয়দের আগ্রাসন থেকে ব্রাহ্মণদের রক্ষা করতে মহর্ষি জমদগ্নি ও রেণুকার কোল আলো করে পরশুরাম রূপে জন্মগ্রহণ করলেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি ছিলেন তাদের পঞ্চম ও কনিষ্ঠ পুত্র। মহাদেবের তপস্যা করে তিনি লাভ করেছিলেন অমোঘ অস্ত্র পরশু বা কুঠার। রামায়ন ও মহাভারত উভয় মহাকাব্যেই তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রামায়নে তিনি রাজা জনককে দান করেছিলেন হরধনু। জনকরাজ শর্ত রেখেছিলেন যে এই ধনুকে জ্যা পরাতে পরবে তার সঙ্গেই তিনি কন্যা সীতার বিয়ে দেবেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শ্রী রামচন্দ্র সীতাকে পত্নী রূপে লাভ করেছিলেন। অপর দিকে মহাভারতে তিনি কর্ণের অস্ত্র গুরু। কর্ণ নিজের পরিচয় গোপন করে তার কাছে অস্ত্র শিক্ষা করেছিলেন। ছলনার কথা জানতে পেরে পরশুরাম কর্ণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, অন্তিম মুহূর্তে তিনি ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগের কৌশল ভুলে যাবেন। এই কারণেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে কর্ণের মৃত্যু ঘটেছিল। ফিরে আসি পরশুরামের কথায়। একদিন জমদগ্নি যজ্ঞের আয়োজন করেছেন, রেণুকা গেছেন নদীতে স্নান করতে। সেখানে চিত্ররথ নামে এক গন্ধর্ব্ব রাজ স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে জলকেলি করছিলেন। গন্ধর্ব্বরাজের মনোহর রূপ দেখে রেণুকা মনে মনে তার প্রতি আকৃষ্ট হন।...

বামন অবতার, বিষ্ণু মহাবলীর মাথায় পা দিয়েছিলেন কেন? আলোকপাত, Alokpat

Image
ভক্ত প্রহ্লাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ রূপ ধারণ করে ধরাধামে অবতীর্ণ হলেন। অত্যাচারী হিরণ্যকশিপুকে পেট চিরে হত্যা করে বালক প্রহ্লাদকে সিংহাসনে বসালেন। প্রহ্লাদের সুসাশনে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে এল। অনেকদিন ব্যতিত হল, সিংহাসনে বসলেন রাক্ষস রাজ মহাবলী। তিনি ছিলেন রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপুর প্রপৌত্র, প্রহ্লাদের পৌত্র এবং বিরোচনের পুত্র। তিনিও ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত। একবার দেবাসুরের যুদ্ধে অসুরেরা পরাজিত হল। দেবরাজের বজ্রের আঘাতে বলীরাজ সহ অন্যান্য অসুরেরা হয় আহত নয়তো নিহত হল। দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য মৃত সঞ্জীবনী বিদ্যার সাহায্যে সমস্ত অসুরদের জীবিত ও সুস্থ করে তুললেন। এরপর কঠোর তপস্যা ও যাগযজ্ঞের মাধ্যমে অভাবনীয় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বলীরাজ পুনরায় স্বর্গ আক্রমণ করলেন। এবার অসুরদের মিলিত শক্তির আক্রমণে পরাজিত হয়ে দেবতারা পলায়ন করলেন। ইন্দ্রপ্রস্থে অসুরদের আধিপত্য কায়েম হল। দৈত্যাচার্যের পরামর্শে মহাবলী একশোটি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার জন্য মনস্থির করলেন। শুক্রাচার্যের পৌরহিত্যে একে একে ৯৯ টি অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ন হল। আর মাত্র একটি যজ্ঞ সম্পন্ন করতে পারলেই রাক্ষস রাজ মহাবলী দেবরাজ ইন্দ্রে...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat