Posts

Showing posts from June, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার, Nrisinha Avatar, আলোকপাত, Alokpat

Image
স্বর্গ থেকে অভিশপ্ত হয়ে জয় ও বিজয় পৃথিবীতে হিরণ্যাক্ষ ও হিরণ্যকশিপু রাক্ষস রূপে জন্মগ্রহণ করেন। হিরণ্যাক্ষ পৃথিবীকে মহাজাগতিক সমুদ্রের নিচে লুকিয়ে রাখলে ভগবান বিষ্ণু বরাহ অবতারে তাকে হত্যা করে পৃথিবীকে উদ্ধার করেন। বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে হিরণ্যকশিপু বিষ্ণুর প্রতি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রতিশোধের বাসনায় তিনিও সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করেন। মন্দর পর্বতে তপস্যা চলা কালীন দেবতাগন হিরণ্যকশিপুর প্রাসাদ আক্রমণ করেন। সেই সময় হিরণ্যকশিপুর স্ত্রী কায়াদু ছিলেন সন্তান সম্ভবা। দেবর্ষি নারদ তাকে নিজের আশ্রমে নিয়ে আসেন। সেখানেই জন্ম হয় ভক্ত প্রহ্লাদের। নারদের তত্ত্বাবধানে বালক প্রহ্লাদ বিষ্ণুর ভক্ত হয়ে ওঠেন। ওদিকে হিরণ্যকশিপুর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা তার সামনে প্রকট হলেন। হিরণ্যকশিপু বললেন, হে প্রভু আমাকে এমন বর দিন যাতে আপনার সৃষ্ট কোনো প্রাণী আমাকে হত্যা করতে না পারে। ঘরে বা ঘরের বাইরে, ভূমিতে বা আকাশে, দিনে বা রাতে, কোনো অস্ত্র শস্ত্রে যেন আমার মৃত্যু না ঘটে। ব্রহ্মা তার মনোষ্কামনা পূর্ণ করে প্রস্থান করলেন। ব্রহ্মার বরে হিরণ্যকশিপু নিজেকে এক প্রকার অমর ধরে নিলেন। প্রাসাদে ফির...

ভগবান বিষ্ণু শূকরের রূপ ধারণ করেছিলেন কেন? Baraha Avatar, Alokpat, আলোকপাত

Image
বিষ্ণুলোকে ভগবান বিষ্ণুর দ্বাররক্ষী রূপে নিযুক্ত হয়েছিলেন জয় ও বিজয় নামে দুই ভাই। শ্রীহরির প্রতি ভক্তি ও বিশ্বস্ততায় তারা ছিলেন অদ্বিতীয়। একবার কয়েকজন ঋষি, বালকের ছদ্মবেশে ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন। জয় ও বিজয় ঋষিদের বালক সুলভ চেহারা দেখে তাচ্ছিল্য ভরে জানালেন, শ্রীহরি এখন বিশ্রাম করছেন। তাই ভিতরে যাওয়া যাবে না। ক্রুদ্ধ হয়ে ঋষিগন তাদের অভিশাপ দিলেন যে, তোমরা শ্রীবিষ্ণুর চরণ থেকে বঞ্চিত হবে, তোমাদের দেবত্ব লোপ পাবে এবং পৃথিবীতে মনুষ্য রূপে জন্মগ্রহণ করবে। কাঁদতে কাঁদতে দুই ভাই শ্রীহরির পায়ে গিয়ে পড়লেন।  বিষ্ণু জানালেন, ঋষিদের অভিশাপ ব্যর্থ হবে না। তবে তাদের শাপমুক্তির দুটি পথ আছে। প্রথমত, তারা সাতবার পৃথিবীতে মনুষ্য জন্ম ভোগ করে আবার বিষ্ণুলোকে ফিরতে পারবে। এবং দ্বিতীয়ত, তারা তিনবার পৃথিবীতে ভগবান বিষ্ণুর শত্রু হিসাবে জন্ম গ্রহণ করবে এবং তিনি নিজে তাদের হত্যা করবেন। জয় বিজয় জানালেন তারা সাত জন্ম পর্যন্ত শ্রীহরিকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না। শত্রু হলেও তারা তিন জন্মকেই বেছে নিতে চান। শ্রীবিষ্ণু বললেন, তথাস্তু। ঋষিদের অভিশাপে পৃথিবীতে রাক্ষস বংশে জয় ও বিজয় যথাক্রমে হিরণ্যাক্ষ ও হি...

ভগবান বিষ্ণু কূর্ম অবতার ধারণ করেছিলেন কেন? Lord Vishnu as turtle Avatar...

Image
গরুড় পুরাণ থেকে জানা যায়, একবার মহর্ষি দুর্বাসা দেবরাজ ইন্দ্রেকে এক দিব্য পুষ্পমালা উপহার দিয়েছিলেন। ইন্দ্র মালাটিকে তার বাহন ঐরাবতের মাথায় রাখেন। ঐরাবতও স্বভাব বশত সেটিকে মাটিতে ফেলে দেন। এতে ঋষি দুর্বাসা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিশাপ দিলেন যে, ইন্দ্র সহ সমস্ত দেবতাগন তাদের শক্তি, প্রতিপত্তি ও গৌরব হারাবেন। দুর্বাসার শাপে দেবতাদের দেবত্ব লোপ পেলে তারা সমুদ্র মন্থন করে অমৃত উদ্ধারের সংকল্প করেন। সমুদ্র মন্থনের কাহিনী আমাদের চ্যানেলে আগেই সম্প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটির লিংক দেখার জন্য ডেসক্রিপশনে দেওয়া আছে দেখে নিতে পারেন। বিশাল ক্ষীর সাগর মন্থন করা দেবতাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই আলোচনায় স্থির হলো মন্থন কার্যে অসুরদের সাহায্য নেওয়া হবে। মন্থন দন্ড হিসাবে মৈনাক পর্বত এবং মন্থনের দড়ি হিসাবে বাসুকি নাগকে নির্বাচন করা হলো। নির্দিষ্ট দিনে শুরু হলো জগৎ বিখ্যাত সমুদ্র মন্থন। বাসুকি নাগের মাথার দিকটা ধরল অসুরেরা এবং লেজের দিকটা দেবতারা ধরলেন। কিন্তু প্রচন্ড গতিতে ঘুর্ণনের ফলে মৈনাক পর্বত অতল সাগরে তলিয়ে যেতে শুরু করে। তখন ভগবান বিষ্ণু, এক প্রকান্ড কুর্ম বা কচ্ছপ রূপে আবির্ভূত হয়ে মৈনাক পর্বতকে নিজের পিঠের উপর...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat