Posts

Showing posts from April, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

বিবাহের প্রচলন কিভাবে হয়েছিল, How the marriage system started?

Image
How the marriage system started in Hinduism হিন্দু ধর্মে বিবাহ এক পবিত্র বন্ধন। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে অগ্নিদেবকে সাক্ষী রেখে দুই জন নারী ও পুরুষ জন্ম জন্মান্তর ধরে পরস্পরের সঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু কখনো কি মনে এই প্রশ্ন জাগে না, কে কেন এই বিবাহ প্রথার সূচনা করেছিলেন? চলুন আজ দেখে নিই হিন্দু ধর্মে কিভাবে বিবাহের প্রচলন হয়েছিল।  আজথেকে বহু যুগ আগের কথা, মানুষ সবে সমাজ বদ্ধ হতে শুরু করেছে। আইন বা নিয়ম কানুন ছিল অত্যন্ত শিথিল। সমাজে নারী ছিল সমস্ত পুরুষের ভোগ্য। বনের মাঝে আশ্রমে পুত্র শ্বেতকেতুকে নিয়ে বাস করতেন উদ্দালক মুনি। একদিন শ্বেতকেতু দেখলেন তার চোখের সামনে থেকে একজন পুরুষ তার মাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ছুটে গিয়ে পিতা উদ্দালককে একথা জানালেন। উদ্দালক বললেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নারীরা সব পুরুষের ভোগ্য। একথা শুনে শ্বেতকেতু অত্যন্ত কষ্ট পেলেন। এবং মনে মনে সংকল্প করলেন এর একটা বিহিত করতেই হবে। পরবর্তীতে তিনি নিয়ম করে দিলেন একজন নারী এবং একজন পুরুষ বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে অগ্নিদেবকে সাক্ষী রেখে পরস্পরের সঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞা করবে এবং তাদের সন্তানদের ...

Sudarshan Chakra, The most powerful weapon ever made

Image
Sudarshan Chakra, The most powerful weapon ever made In the mythological story, repeatedly mentioned the Sudarshan Chakra . Lord Vishnu used this abominable weapon. There is a special story behind the origin of this deadliest weapon. The main weapon of Lord Vishnu is the Sudarshan Chakra . It is said that this weapon can defeat the weapons of all other gods. Vishwakarma, The God of engeneering created the Sudarshan Chakra . It is said that, Sanga, the daughter of Vishwakarma married the Sun God. But due to the extreme heat of the sun, she could not go to him. After feeling the emotional pain of the daughter, father Vishwakarma became very depressed. To solve this problem, the godman took the sun down and reduced his sprain and heat slightly. Then Surya Dev (The Sun God) and Sanga (The daughter of Vishwakarma got the chance to come close to each other. During the time of reducing the power of The Sun, the Vishwakarma received some remnants. He keept these very carefully ...

সুদর্শন চক্র কিভাবে তৈরি হয়েছিল, Sudarshan Chakra, #alokpat, #আলোকপাত

Image
সুদর্শন চক্র কিভাবে তৈরি হয়েছিল, Sudarshan Chakra To read this Article in English, click here পৌরাণিক কাহিনীতে বারে বারে উল্লেখ করা হয়েছে সুদর্শন চক্রের । একমাত্র ভগবান বিষ্ণুই এই অমোঘ অস্ত্র ব্যবহার করেন। সুদর্শন চক্রের উপত্তির পেছনে রয়েছে এক বিশেষ কাহিনী। ভগবান বিষ্ণুর প্রধান অস্ত্র সুদর্শন চক্র । বলা হয় এই অস্ত্র অন্যান্য সকল দেবতাদের অস্ত্রকে পরাভুত করতে পারে। সুদর্শন চক্র তৈরি করেছিলেন দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা। কথিত আছে, বিশ্বকর্মার কন্যা সংজ্ঞা সূর্য দেবকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সূর্যের প্রচন্ড তাপের কারনে তিনি তার কাছে যেতে পারতেন না। কন্যার মানসিক বেদনা অনুধাবন করে পিতা বিশ্বকর্মা অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে পড়েন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দেবশিল্পী সূর্যকে হস্তগত করে তার তেজ ও তাপ কিছুটা কমিয়ে দেন। এরপরই সূর্যদেব ও সংজ্ঞা সাচ্ছন্দে পরস্পরের নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ পান। সূর্যের তেজ নস্ট করার সময় বিশ্বকর্মা কিছুটা অবশিষ্টাংশ পেয়েছিলেন। এগুলো তিনি সযত্নে নিজের কাছে রেখে দেন। পরে সূর্যতেজের অবশিষ্টাংশ দিয়ে তিনি তিনটি মহা মূল্যবান জিনিস তৈরি করেন। এগুলি হলো- দেবতাদের আকাশে ভ্রমনের ...

ভষ্মাসুর শিব ঠাকুরকে তাড়া করেছিল কেন?, The story of Vashmasura, vasmasur...

Image
ভষ্মাসুর বধ , The story of Bhasmasur ভষ্মাসুর ছিলেন ভগবান শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত। এক সময় তিনি কঠোর তপস্যা শুরু করেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে বর দিতে উপস্থিত হলেন। আরাধ্য দেবতাকে সামনে পেয়ে ভষ্মাসুর তাকে ভক্তিভরে প্রণাম করলেন। শিব ঠাকুর বললেন, বলো বৎস তুমি কী বর চাও? ভষ্মাসুর অমরত্ব প্রার্থনা করলেন। মহাদেব বললেন, তা সম্ভব নয়, তুমি অন্য কোনো বর প্রার্থনা করো। অনেক ভেবে ভষ্মাসুর বললেন, হে প্রভু, তাহলে আমাকে এমন শক্তি প্রদান করুন যাতে আমি যার মাথায় হাত রাখবো সে তৎক্ষণাৎ পুড়ে ভষ্ম হয়ে যাবে। শিব ঠাকুর বললেন, তথাস্তু। মহেশ্বরের কাছ থেকে সকলকে ভষ্ম করার বর পেয়েছিলেন বলে তার নাম হয়েছিল ভষ্মাসুর। বর পেয়ে ভষ্মাসুর তার শক্তি পরীক্ষা করতে চাইলেন। সামনে তখনো শিব ঠাকুর দাড়িয়ে আছেন। ভষ্মাসুর ভাবলেন তাহলে শিব ঠাকুরের উপরই পরীক্ষাটা করা যাক। ভাবনা মাত্রই তিনি হাত তুলে শিব ঠাকুরের দিকে এগিয়ে গেলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে শিব ঠাকুর প্রাণপণে ছুট লাগালেন। ভষ্মাসুরও ছাড়বার পাত্র নন। তিনিও মহাদেবের পিছু পিছু ছুটলেন। উপায়ান্তর না দেখে শিব ঠাকুর ভগবান বিষ্ণুর স্মরনাপন্ন হলেন। সব শুনে বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধ...

রতিদেবীর জন্ম কামদেবের সঙ্গে বিবাহ The story of Kamdeva and Rati, আলোকপা...

Image
কামদেব ও রতি , The story of Kamdeva and Rati Devi. ব্রহ্মার মন থেকে কামদেবের জন্ম হল। সমস্ত ঋষিগন মিলে কামদেবের কর্ম অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন নামকরণ করলেন। এরপর ব্রহ্মার মানসপুত্রগন কামদেবকে বললেন এবার প্রজাপতি দক্ষ তোমার উপযুক্ত সহধর্মিণী দান করবেন। তখন দক্ষ কামদেবকে বললেন, তুমি রূপে গুণে জগতের শ্রেষ্ঠ পুরুষ। তাই তোমার সহধর্মিণীও তোমার উপযুক্ত হওয়া উচিত। একথা বলতে বলতে আদি প্রজাপতি দক্ষের শরীর থেকে বিদ্যুৎ প্রভা তুল্য, পরম রূপবতী এক নারীর উৎপত্তি হল। তার রূপের কাছে জগতের সমস্ত সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গেল। পূর্ণিমার পূর্ণ চন্দ্র তাকে দেখে মাথা নত করলেন। বিস্ময় বিমুগ্ধ কামদেব বাকরুদ্ধ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। এখানে স্মরণ করিয়ে দিই, এই প্রজাপতি দক্ষ শিব ঠাকুরেরও শ্বশুর এবং সতীর পিতা। বিখ্যাত দক্ষযজ্ঞের কথা নিশ্চই মনে আছে। দক্ষ, জামাই শিবকে অপমান করায় সতী দেহত্যাগ করেছিলেন। তখন ক্রুদ্ধ মহাদেব সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে তান্ডব নৃত্য করে, দক্ষের যজ্ঞ পন্ড করে দিয়েছিলেন। দক্ষযজ্ঞ নিয়ে আলোকপাত চ্যানেলে পরবর্তীতে ভিডিও প্রকাশ করা হবে। তাই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব না করে থাকলে এখনই সাবস্ক্রাইব করে প...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat