Posts

Showing posts from March, 2018

পুরীর জগন্নাথ দেবের অদ্ভুত চেহারা কেন? The Story of Lord Jagannath

Image
নীলমাধব থেকে জগন্নাথ মালব রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। গগনচুম্বি তার প্রাসাদ। একবার সেখানে এক রহস্যময় সন্যাসি উপস্থিত হন। ভারতবর্ষের প্রতিটি তীর্থ তার নখদর্পণে। ইন্দ্রদুম্ন্য ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। কথা প্রসঙ্গে সন্যাসি তাকে জানান, শ্রীবিষ্ণু বর্তমানে নীলমাধব রূপে শবর রাজ্যে অত্যন্ত গোপনে শবরদের দ্বারা পূজিত হচ্ছেন। সন্যাসির কথা শুনে ইন্দ্রদুম্ন্য বিষ্ণু দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। নীলমাধবের সন্ধানের জন্য তিনি রাজ পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতিকে শবর রাজ্যে পাঠালেন। শবর রাজ্যে এলেন বিদ্যাপতি। রাজ অতিথিকে শবর রাজ পরম আতিথ্যে বরন করলেন। রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন অতিথি সেবার দায়িত্ব। কিছুদিনের মধ্যেই সরলমতি ললিতার মন জয় করে নিলেন চতুর বিদ্যাপতি। ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। এক মুহুর্তের জন্য বিদ্যাপতি চোখের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসান ললিতা। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন বিদ্যাপতি। তিনি এক প্রেমঘন মুহুর্তে ললিতার কাছে নীলমাধব দর্শনের আব্দার করলেন। উভয় সংকটে পড়লেন ললিতা। কারন, গভীর জঙ্গলে নীলমাধবের গুপ্ত মন্দির। তার সন্ধান শুধু শবররা জানেন এবং শবর ছাড়া অন্য সকলের জন্য সে স্থান নিসিদ্ধ। অনে...

কামদেবের জন্ম কিভাবে হয়েছিল? How the God of Love born, alokpat, আলোকপাত

Image
কামদেবের জন্ম  The origin The God of Love কালিকা পুরাণ অনুযায়ী, ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির পর পিতামহ ব্রহ্মা প্রাণীকুল সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন। দক্ষ প্রভৃতি প্রজাপতিগনকে সৃষ্টির পর তিনি সপ্ত ঋষি ও নারদ সহ দশজন মানসপুত্র সৃষ্টি করেন। তখনই বিধাতার মন থেকে এক পরম রূপবতী নারীর সৃষ্টি হয়। ইনি সন্ধ্যা নামে খ্যাত। তার রূপের ছটায় ত্রিভূবন আলোকিত হলো। তাকে দেখে দক্ষ প্রভৃতি প্রজাপতিগন ও ব্রহ্মার মানসপুত্রগন শিহরিত হলেন। ব্রহ্মা সহ সকলে বিস্ময় বিমুগ্ধ নয়নে ভাবতে লাগলেন, এই নারী জগতে কী কাজ করবে? কেই বা এই রমণী রত্নের অধিকারী হবেন। একথা ভাবতে ভাবতে ব্রহ্মার মন থেকে অতি রূপবান, তেজোদীপ্ত এক সুদর্শন পুরুষের আবির্ভাব হল। পঞ্চপুষ্প শরে শোভিত সেই পুরুষ শ্রেষ্ঠ ধীর পদক্ষেপে সৃষ্টিকর্তার কাছে এসে প্রণাম করে বললেন, হে বিধাতা, আপনি আমাকে পুরুষ রূপে সৃষ্টি করেছেন। জগতে আমার মতো পুরুষের কী কাজ তা আপনিই নির্দিষ্ট করে দিন। ক্ষণকাল চিন্তা করে ব্রহ্মা বললেন, তোমার এই মনোহর মূর্তি ও পুষ্পময় পঞ্চশর আমাকেও মোহিত করেছে। তোমার এই পুষ্পশরের ছোঁয়ায় দেব, দানব, মানব, রাক্ষস, গন্ধর্ব্ব, যক্ষ, কিন্নর সহ সমস্ত প্রাণীর মন...

অপ্সরাদের রহস্যময় জীবন, Who are Apsara, Alokpat

Image
অপ্সরাদের রহস্যময় জীবন Mysterious Life of Apsaras পুরাণ মতে দেবতা ও অসুরদের সমুদ্র মন্থনের সময় পাতাল থেকে এই মোহময়ী রমণী শ্রেষ্ঠাগন উঠে এসেছিলেন। সংস্কৃত অপ্ শব্দের অর্থ জল। জল বা অপ্ থেকে সৃষ্টি হয়েছিলেন বলে এদের অপ্সরা বলা হয়। এরা সর্ব গুন সম্পন্না, অপরূপ সুন্দরী ও নৃত্য গীতে পারদর্শী। ঋকবেদে অপ্সরাদের মধ্যে শুধু মাত্র উর্বশীর উল্লেখ পাওয়া যায়। বেদ অনুযায়ী অপ্সরা গন্ধর্বের স্ত্রী। অপ্সরাগন দেবরাজ ইন্দ্রের সভায় নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও পৃথিবীতে যখনই কোনো মানব, দানব অথবা মুনি ঋষি কঠোর তপস্যায় রত হয়েছেন তখনই তাদের মানসিক জোর ও একাগ্রতার পরীক্ষা নিতে দেবরাজের নির্দেশে উর্বশী, রম্ভা, তিলোত্তমা, মেনকারা পৃথিবীতে নেমে এসেছেন। এদের রূপের বিভঙ্গে মত্ত হয়ে জপ তপ ভুলে অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়েছেন। উর্বশীর প্রেমে মজেছিলেন রাজা পুরূরবা। তেমনি মেনকার রূপ যৌবনের টানে তপস্যা ভুলেছিলেন বিশ্বামিত্র। বিশ্বামিত্রের ঔরসে মেনকার গর্ভে জন্ম হয়েছিল শকুন্তলার। এই শকুন্তলা ও রাজা দুষ্যন্তের পুত্র ভরতের নাম থেকেই ভারতবর্ষের নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। অপ্সরাদের অধিপতি হলেন কামদেব। অনন্ত রূপ যৌবনের পাশাপাশ...

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat

Image
গন্ধর্ব কারা? who are Gandharba s? গন্ধর্বদের জীবন ও গতিবিধি বেশ রহস্য জনক। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মেই এদের বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়। গন্ধর্বদের উৎপত্তি সম্পর্কে একাধিক মত রয়েছে। কোনো কোনো গ্রন্থে ব্রহ্মার থেকে আবার কোথাও মহর্ষি কাষ্যপ ও অন্যান্য মুনি ঋষিদের থেকে এরা সৃষ্টি হয়েছিল বলে শোনা যায়। গন্ধর্বরা দেবতাদের সভার সঙ্গীত শিল্পী এবং ত্রিভূবনের সর্বোৎকৃষ্ট পানীয় সোমরসের রক্ষক। গন্ধর্ব রাজ পুষ্পদন্ত দেবরাজ ইন্দ্রের সভায় প্রধান গায়ক ছিলেন। এদের সঙ্গীতের মূর্ছনায় মোহময়ী অপ্সরাগন নৃত্য পরিবেশন করেন। এরা ত্রিভূবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী রূপে পরিগনিত হন। কখনো কখনো এদের অপরাজেয় যোদ্ধার ভূমিকায় দেখা যায়। গন্ধর্বরা দেবতা নন আবার মানুষও নন। তারা দেবতা ও মর্ত্য বাসিদের মধ্যে বার্তা বাহকের কাজ করেন। দেবরাজ ইন্দ্রের রথের সারথি মাতলি, গন্ধর্ব ছিলেন। রহস্যময়ী অপ্সরাদের মতো এরাও আকাশে অবাধে উড়ে বেড়াতে সক্ষম । https://youtu.be/pPiKNwlgt18 YouTube Channel link:👇 https://www.youtube.com/c/alokpat Like our Facebook page👇 https://www.facebook.com/alokpat4you/ Read Blogg as Stories👇 http://alokpat.b...

হনুমানের জন্ম কিভাবে হয়েছিল?

Image
হনুমানের জন্ম: মলয় পর্বতে বাস করেন বানর কেশরী ও তার পরমা সুন্দরী স্ত্রী অঞ্জনা। অঞ্জনার রূপের ছটায় ত্রিভূবন আলোকিত। পত্নীকে নিয়ে মহা সুখে দিন কাটে কেশরীর। শীতের আবরণ ছাড়িয়ে এল বসন্তকাল। দখিনা বাতাস নিয়ে মলয় পর্বতে উপস্থিত হলেন পবন দেব। অঞ্জনার চোখ ঝলসানো রূপ মুগ্ধ করল তাকে। মোহিত পবন দেব বায়ু রূপে তাকে আলিঙ্গন করলেন। বুঝতে পেরে ক্রুদ্ধ হয়ে অঞ্জনা পবন দেবকে বললেন, আপনি দেবতা হয়ে পরস্ত্রী গমন করলেন? এতো মহাপাপ। পবনদেব বললেন, তুমি নিশ্চিন্তে ঘরে যাও। পৃথিবীর প্রয়োজনে তোমার গর্ভে এক মহাবীর পুত্র জন্ম গ্রহণ করবে। এরপর আঠারো মাস গর্ভে থাকার পর এক অমাবস্যায় জন্ম হল পবনপুত্র হনুমানের। ভোরের আলো ফুটল, আকাশে লাল টুকটুকে সূর্য উঠল। পাকা ফল মনে করে মায়ের কোল থেকে সদ্যজাত হনুমান এক লাফে ছুটে চললেন সূর্যকে ধরতে। সেই দিনটি আবার ছিল সূর্য গ্রহন। সূর্যকে গ্রাস করতে চলেছেন রাহু। কিন্তু হনুমানকে প্রচন্ড গতিতে সূর্যের দিকে ছুটে যেতে দেখে রাহু ভয় পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে গিয়ে সব বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন। ব্যাপারটা আসলে কী তা জানার জন্য বজ্র হাতে ইন্দ্র ঐরাবতে চড়ে আকাশ পথে চললেন। কাছে গিয়ে ইন্দ্র দেখলেন...

Popular posts from this blog

অষ্টবসুর অভিশাপ, ভীষ্মের পূর্ব জন্ম, কামধেনু, curse of Astabasu, curse o...

পঞ্চসতী বা পঞ্চকন্যা কারা

গন্ধর্ব কারা who are gandharba, alokpat